নির্বাচনী বন্ডে তথ্য বেরতেই নজরে এখন ‘ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস’। এই সংস্থা পরিচালিত ‘ডিয়ার লটারি’ ফের এসেছে নজরে। একা অনুব্রত মণ্ডল নন, তৃণমূলের একাধিক নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা পেয়েছেন এই লটারিতে বিজয়ীর পুরস্কার।
নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে মোট ১৩৬৮ কোটি টাকা দিয়েছে ফিউচার গেমিং। সংস্থার মালিক স্যান্টিয়াগো মার্টিনের নামে নোটিশ জারি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। নজর ছিল ইডি, সিবিআই’র। ২০১৯’র পর তৎপরতা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। আর ২০১৯ থেকে ২০১৪’র মধ্যেই ওই বিপুল অঙ্কের টাকা বন্ডে দিয়েছে তাঁর সংস্থা। বন্ধও হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক বা তদন্ত সংস্থার নড়াচড়া।
২০২২’র আগস্টে জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্তার স্ত্রী রুচিকা গুপ্তা ‘ডিয়ার লটারি’-র ১ কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছিলেন। তার আগের মাসেই নলহাটির তৃণমূল বিধায়ক রাজেন্দ্র প্রসাদ সিংয়ের শ্যালিকা নেরু সিং ১ কোটি টাকার পুরস্কার জেতেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনেও এই যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
ডিয়ারের সবচেয়ে কাছের অবশ্যই তৃণমূলের নেতা বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল। তিনি এখন জেলে। সিবিআই’র চার্জশিটে বলা হয়েছে অনুব্রত এবং তাঁর কন্যা ২০১৯ থেকে ২০২১’র মধ্যে চার-চারবার জিতেছিলেন ডিয়ার লটারি।
সিপিআই(এম) নির্বাচনী বন্ডের বিরুদ্ধে সংসদে প্রতিবাদের পাশাপাশি মামলা দায়ের করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট গোপন লেনদেনের নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। বাতিল করে দেওয়ার পাশাপাশি কে কার থেকে কত টাকা পেয়েছে জানানোর নির্দেশ দেয় স্টেট ব্যাঙ্ককে।
গত ৬ মার্চ নির্বাচন কমিশনকে তথ্য জমা দেওয়ার সময়সীমা থাকলেও টালবাহানা চালায় স্টেট ব্যাঙ্ক। ফের সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি স্টেট ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১২ মার্চ তথ্য দেয়, কমিশন ওয়েবসাইটে আপলোড করে ১৪ মার্চ রাতে। কে কাকে কত টাকা দিয়েছে তা জানানো না হলেও লেনদেনের প্রবণতা ধরা পড়ে গিয়েছে।
পুরো প্রকল্পকে রাজনৈতিক তোলাবাজি আখ্যা দিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
BOND LOTTERY TMC
নির্বাচনী বন্ড ঘোটালার লটারিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ একাধিক নাম
×
Comments :0