EXIT POLL CONGRESS

ভুয়ো সমীক্ষায় মনোবল ভাঙবে না, গণনায় সতর্কতার বার্তায় কংগ্রেস

জাতীয়

রবিবার বৈঠকের মুখে রাহুল গান্ধী, মল্লিার্জুন খাড়গে।

মনোবৈজ্ঞানিক চাপ তৈরির খেলা খেলছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশেই করা হয়েছে বুথফেরত সমীক্ষা। কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল ভাঙা যাবে না। ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের সব দলের কর্মীরাই সতর্ক থাকবেন গণনার বুথে। সমীক্ষার চাপের কাছে কেউ ঝুঁকছেন না।
দেশের সব রাজ্যে নেতাদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকের পর এই বার্তা দিয়েছে কংগ্রেস। বৈঠকের মুখে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্য, ‘‘এসব ‘এক্সিট পোল’ (বুথফেরত সমীক্ষা) নয়। এটা মোদীর পোল। মোদীর কল্পকাহিনী মেলানোর পোল।’’
কংগ্রেসের মিডিয়া বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ ভোট গণনার আগে ফের সরব হয়েছেন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাতেও। রমেশ বলছেন, ‘‘গণনা কেন্দ্রে জবরদখলের পরিকল্পনা রয়েছে। বলতে পারেন কেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দেড়শোর বেশি জেলাশাসকের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলছেন? চাপ তৈরি করা হচ্ছে। তার আগে পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে ‘এক্সিট পোল দিয়ে।’’ 
রমেশ কর্ণাটকের বিধানসভা ভোট মনে করিয়েছেন। বুথফেরত সমীক্ষায় কংগ্রেসকে ৯০’র বেশি আসন দেওয়া হয়নি। বাস্তবে কংগ্রেস ১৩৬ আসন পেয়েছিল।
কংগ্রেসের অভিযোগ, বিভিন্ন এলাকায় বিরোধী দলগুলির কাউন্টিং এজেন্টদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বিজেপি। গণনা কেন্দ্রেই যাতে কেউ ঢুকতে না পারেন, এমন কিছু এলাকায়, তার চেষ্টা হচ্ছে। বিতর্ক তৈরি হয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ এবং আইনজীবী কপিল সিবালের কথাতেও। তাঁর আশঙ্কা ছিল, রিটার্নিং অফিসার বা আরও এবং এআরও টেবিলে বসতে দেওয়া হবে না কাউন্টিং এজেন্টদের। ক্ষোভ তীব্র হতে থাকায় রবিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন জানায় যে এজেন্টরা আরও এবং এআরও’র টেবিলে বসতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েই এদিন সরব হয়েছে রমেশ। তিনি বলেছেন, ‘‘১১৭টি অভিযোগ কেবল কংগ্রেস দায়ের করেছে কমিশন। তার মধ্যে ১৭টি কেবল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে বারবার নির্বাচনী আচরণ বিধি ভাঙা সংক্রান্ত। একটি ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্র বারাণসীতে অনেকে চাইলেও প্রার্থী হতে পারেননি কমিশনের অসহযোগিতায়। কমিশন নিরপেক্ষ না থাকলে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। তবে কংগ্রেস কর্মীরা পূর্ণ সতর্কতা নিয়েই ঢুকছেন বুথে।’’
রাহুল গান্ধীকে প্রশ্ন করা হয় ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ জিতবে ক’টি আসনে। তাঁর জবাব, ‘২৯৫’। শনিবার, সপ্তম দফা ভোটের পরই, দিল্লিতে বৈঠকে বসেন ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের নেতৃবৃন্দ।
রবিবার বেলাতেই রমেশ, রাহুলদের নিয়ে প্রত্যেক রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে বসেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। রাজ্য ধরে ধরে হিসেব দেন কংগ্রেসের সভাপতিরা। এক্সিট পোলের হিসেবের পালটা আসনে হিসেব দিয়েছেন তাঁরা।  
এর মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঘুরতে শুরু করেছে। মোদীর কেন্দ্র বারাণসীর রোহনিয়ার পাহারিগাঁওয়ের একটি ভোটকেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রতীক ঢাকা হয়েছে টেপ দিয়ে। পশ্চিমবঙ্গে যেমন এই অভিযোগ তৃণমূল এবং বিজেপি’র যৌথ কারসাজিকে ঘিরে রয়েছে। মহিলা কর্মীরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ওই এলাকায়।

Comments :0

Login to leave a comment