অন্যকথা
কেন চেয়ে আছো গো মা!
কৃশানু ভট্টাচার্য্য
মুক্তধারা
গোটা পর্দা জুড়ে এক উদার আকাশ, সে রকমই উদার আবহ, আর তার মধ্যেই বিব্রত এক অগ্রজ- সেও দায়ী, কিন্তু একাই নয়, অনেকের সঙ্গে। আর দর্শকের চোখ বাস্পে আকুল। কারণ এক হাহাকার!
'দাদা, আমি কিন্তু বাঁচতে চেয়েছিলাম, আমি কিন্তু বাঁচতে ভালোবাসি!'
বহুকাল আগে এক 'নাগরিক' চলচ্চিত্র শিল্পীর কল্পনার সে বাস্তবায়ন আজো যেন আকুল করে। দায়ী অথচ দায়হীন সেজে রাস্তায় নেমে আসে আততায়ীর দল! চিনেও না চেনার ভান করে তাদের মুক্তি আকাশে আলো ছড়ায় না, আলোচনাতে আলোচনাতে ছড়ায় শুধু অন্ধকার। অন্ধকার আনে হতাশা। হতাশা আনে অসহায়তা। সামাজিক ক্ষয়রোগ ছড়িয়ে পড়ে শিরায় শিরায়। রাসায়নিক বিষক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া ফুসফুস আর সহ্য করতে পারে না সেই অসহায়তা। আর্তনাদ করে - আমরা কিন্তু বাঁচতে চেয়েছিলাম! আমরা কিন্তু বাঁচতে ভালোবাসি।
একটি ছবির শেষ দৃশ্য তখনই হয়ে ওঠে এ সময়ের শেষ দৃশ্য। এর আগে বিদায় নিয়েছিল স্বস্তি। তারপর গেল আস্থা, একে একে গেছে ভরসা, বিশ্বাস আর প্রত্যয়। গেছে আর বিলীন হয়ে গেছে মণিকর্নিকা ঘাটের আগুনে , ধাপে ধাপে। চোর পুলিশ খেলার অবশ্যম্ভাবী শেষ দৃশ্যের সেই শব্দ প্রতিধ্বনিত হয়েছে আকাশে , বাতাসে - ধাপ্পা। এখন তো কেবল হাহাকার।
এখন তো কেবল হাহুতাশ - " কেন চেয়ে আছো গো মা! মুখপানে! "
Comments :0