মণ্ডা মিঠাই
জীবনের যুদ্ধে শ্রীকান্ত
পর্ন ধর
নতুনপাতা
জীবন যুদ্ধে প্রতিকূলতাকে পরাজিত করে একজন শারীরিক সমস্যা সম্পন্ন মানুষ যে সফল হতে পারে তার প্রমাণ শ্রীকান্ত বোলা। শ্রীকান্ত বোলা জন্ম থেকেই চোখে দেখতে পারেন না। একবার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামকে তিনি বলেছিলেন তিনি চান তিনি ভারত বর্ষের প্রথম দৃষ্টিহীন রাষ্ট্রপতি হবেন।
শ্রীকান্তের জন্ম অন্ধ্রপ্রদেশে ১৯৯২ সালের ১৩ জুলাই। যেহেতু তিনি চোখে দেখতে পেতেন না সেই কারণেই প্রতিবেশীরা তার বাবা মাকে বলেছিলেন যে একে মানুষ করে কোন লাভ নেই। কারণ পরবর্তী জীবনের সারা পৃথিবী একে ঠকাবে। কিন্তু তার মা সেসব কথায় কান না দিয়ে ছেলেকে শিক্ষা দীক্ষা দিয়ে মানুষ করবার চেষ্টা করতে থাকেন। তিনি চোখে না দেখতে পারলেও পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিলেন। অবশ্য তার সহপাঠীরা তাকে স্কুলে নানাভাবে কষ্ট দিত। কেউ খুলতো তাকে অন্ধ ভিখারী বলে বিদ্রুপ করত।
এইসব কারণেই তার বাবা পরবর্তীকালে তাকে হায়দ্রাবাদে আসা স্কুল ফর ব্লাইন্ড বলে একটি অন্ধদের বিদ্যালয় ভর্তি করিয়ে দেন । এই স্কুলের দায়িত্বে ছিলেন দেবিকা ম্যাডাম। এই শিক্ষিকার সাহচর্যে আসবার পরে শ্রীকান্তের জীবনে বহু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তিনি উচ্চশিক্ষায় বিজ্ঞান নিয়ে পড়বার জন্য বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করবার জন্য তাকে আদালতে আপিল করতে হয় এবং আদালতের নির্দেশের কলেজ তাকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়বার সুযোগ করে দেয়।
এ পরবর্তী স্তরে তিনি কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে প্রথম হয় ।এই সময়ই তার সঙ্গে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কালাম এর সঙ্গে দেখা হয়েছিল।
এর পরবর্তী স্তরের শ্রীকান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কলারশিপ পাবার পরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে। দেশে ফিরে এসে তিনি একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন যৌথ উদ্যোগে। বর্তমানে তিনি এককভাবেই একটি ব্যবসা পরিচালনা করেন। তার পাশাপাশি তিনি এদেশে অন্ধ ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া শেখার কাজে সাহায্য করেন।
তার জীবনের সাফল্য প্রমাণ করে ইচ্ছে থাকলে যে কোন মানুষ জীবনের সাফল্য অর্জন করতে পারে।
অষ্টম শ্রেণী
কল্যাননগর বিদ্যাপীঠ
খড়দহ, আনন্দ নগর, বন্দিপুর,উত্তর ২৪ পরগনা
৬২৮৯৫৮৩৭৮১
Comments :0