RATION ED HIGH COURT

রেশন দুর্নীতির সব মামলায় সিবিআই তদন্ত চাইল ইডি

রাজ্য

রেশনে দুর্নীতি সংক্রান্ত সব মামলার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআই-কে দেওয়ার জন্য শুক্রবার হাইকোর্টে আবেদন জানালো ইডি। এদিন রেশনে দুর্নীতির মামলায় রাজ্য পুলিশের পদক্ষেপে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ইডি’র আইনজীবীরা। ইডি’র তরফে বলা হয়েছে, রেশনে দুর্নীতির কারণে রাজ্যে ছ’টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। কাউকে গ্রেপ্তার তো দূরের কথা, এই ছ’টি ক্ষেত্রেই রাজ্য পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এদিন আদালতকে আরও বলেছে, তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই আদালতের কাছে আবেদন, রেশনে দুর্নীতি সংক্রান্ত যে সমস্ত মামলা রয়েছে, তার সবগুলির তদন্তের দায়িত্বই সিবিআই’র হাতে তুলে দেওয়া হোক।
রাজ্যের রেশনে দুর্নীতির বেশ কিছু মামলার তদন্ত করছে ইডি। রেশন সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। একসময়ে তিনি রাজ্য মন্ত্রীসভায় খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তদন্তে প্রকাশ্যে এসেছে, রেশনের চাল-গম থেকে নিয়মিত কাটমানি পৌঁছে যেত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর কাছে। এই গ্রেপ্তারির পর চালকল এবং গমকলের মালিক বাকিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তার সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের প্রমাণও সামনে এসেছে। রেশনে দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বনগাঁর তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকেও। এই গ্রেপ্তারির পর জানা গিয়েছে, রেশনে দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে। যে টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে, তার পঞ্চাশ শতাং‍‌শের মালিক বালু। রেশনে দুর্নীতি মামলায় ছ’টি এফআইআর দায়ের হয়েছে ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে। এর মধ্যে দু’টি এফআইআর কলকাতায় এবং চারটি নদীয়া জেলায়। এইগুলির কোনও তদন্ত হয়নি। ইডি জানিয়েছে, রেশনে চাল-গম বণ্টন এবং মিল থেকে চাল কেনার ব্যাপারে মন্ত্রী এবং প্রভাবশালীরা জড়িত থাকার কারণেই পুলিশের হাতে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রেশনে দুর্নীতির মামলায় সন্দেশখালির শাহজাহান প্রসঙ্গও এদিন আদালতে উল্লেখ করেছেন ইডি’র আইনজীবীরা। রেশনে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার কারণেই শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিলেন ইডি’র আধিকারিকরা। সেখানে আধিকারিকরা আক্রান্ত হয়েছেন। তারপর এক মাস কেটে গিয়েছে, এখনও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। শাহজাহান আগাম জামিনের জন্য আদালতে দরবার করছে। কিন্তু তাকে ধরতে পারছে না পুলিশ। এদিন ইডি’র আইনজীবীরা আদালতকে জানিয়েছেন, রেশনে দুর্নীতির মামলাগুলির তদন্তের কী অগ্রগতি ঘটেছে, একথা জানতে চেয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে চিঠি দিয়েছিল ইডি। কিন্তু তার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় রেশনে দুর্নীতির মামলাগুলির তদন্তের দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের হাত থেকে সরিয়ে সিবিআই-কে দেওয়া হোক।

 

Comments :0

Login to leave a comment