TEA FIRST FLUSH

মেলেনি বৃষ্টির জল, শঙ্কা নিয়ে শুরু পাতা তোলা

জেলা

শুরু হলো এবছরের নতুন চা পাতা তোলা, বৃষ্টির দেখা না মেলায় দুশ্চিন্তায় চা শি্পের সঙ্গে যুক্ত সকলেই। ছবি: প্রবীর দাশগুপ্ত

শুরু হয়েছে এ বছরের নতুন চা পাতা তোলার কাজ। মরশুমের এই ’ফার্স্ট ফ্লাশ’ চা পাতা তোলার শুরুর দিনে, চা ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শ্রমিকদের মুখে, শোনা গেল উৎকণ্ঠা সুর। 
এ সপ্তাহের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে পাতা তোলা। চা বোর্ডের নির্দেশে আজ থেকে শুরু হয়েছে এ বছরের চা পাতা তোলার কাজ। তবে তেমন বৃষ্টির জল না মেলায় কৃত্রিম জল সেচের মাধ্যমে চা পাতা চাষ হয়েছে।
চা শ্রমিকর বলছেন, চা পাতা যখন বৃষ্টির স্পর্শ পায়, তখন তার স্বাদ আর গুণমানের সঙ্গে আকাশ-পাতাল তফাত হয় সেচের মাধ্যমে চা চাষে। কিন্তু সেই বৃষ্টির দেখা নেই। বছরে সাধারণভাবে তিনবার চা পাতা তোলা হয়। প্রথম পাতা তোলা হয় শীতের শেষদিকে। মরশুমের প্রথম তোলা পাতাে বা ‘ফার্স্ট ফ্লাশ‘-র বিশেষ কদর রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের চা শিল্পপতিরা এবং শ্রমিকরা আশঙ্কা করছেন যে, বৃষ্টির জল না পেলে ফার্স্ট ফ্লাশ চায়ের সেই ঐতিহ্যবাহী স্বাদ তৈরি হবে না। চা গাছের ওপর বৃষ্টির জল এবং রোদ ছাড়া সুস্বাদু চা পাতা পাওয়া সম্ভব নয়। 
শুধু চা বাগানেই নয়, পুরো ডুয়ার্স অঞ্চলের চা শ্রমিকদের মধ্যে চিন্তা বেড়ে গেছে। সরস্বতী পুজোর সময় কিংবা ডিসেম্বর মাসে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির এখন দেখা মিলছে না। বৃষ্টি না হলে পাতার মান কমবে। চা শিল্প মহল থেকে শুরু করে শ্রমিকদের মধ্যে তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। 
গত বছর দেখা গেছে ফার্স্ট ফ্লাস এবং সেকেন্ড ফ্লাস চা পাতার চাহিদায় ভাটা হতে। ক্ষুদ্র চা চাষীদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে কোন রকম সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না তাঁরা। উল্টে টি-বোর্ড গত বছর ৩০ নভেম্বর চা পাতা তোলার শেষ দিন ঘোষণা করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চা চাষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে ক্ষুদ্র চা চাষীরা। 
অভিযোগ, ময়নাগুড়ির একটি শেড গার্ডেন নিয়মের তোয়াক্কা না করে কদিন আগেই পাতা তোলা শুরু করেছে। অথচ টি-বোর্ড কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এ ভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে নিজেদের ক্ষতি করে টি-বোর্ডের সিদ্ধান্ত মানবেন না বলেও জানাচ্ছেন ক্ষুদ্র চা চাষীদের একাংশ।
 

Comments :0

Login to leave a comment