আরো একটা ডার্বি। আরো একবার সবুজ মেরুনের কাছে ফিকে হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের লাল হলুদ মশালের স্ফুলিঙ্গ। এই মরশুমে সিনিয়র ও জুনিয়রদের সব ধরনের বয়সভিত্তিক মিলিয়ে মোট ১২টি ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল। যার মধ্যে ৯টিতেই প্রভাব বিস্তার করেছে মোহনবাগান। বাকি একটি জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। অর্থাৎ এখানেই স্পষ্ট মোহনবাগানের ডার্বি আধিপত্য। নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জল স্টেডিয়ামে সোমবার রিলায়েন্স ডেভলপমেন্ট লীগের ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। গোটা ম্যাচে স্পষ্ট দেখা গেছিল মোহবাগানেরই আধিপত্য। মাঝেমধ্যে ইস্টবেঙ্গল আক্রমণে এলেও তাতে ছিলনা কোনো ঝাঁঝ। ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক প্রথমার্ধে নিশ্চিত কিছু গোল সেভ না করলে লজ্জাজনক ফলাফল হতে পারত ইস্টবেঙ্গলের জন্য।
দ্বিতীয়ার্ধে সায়ন ব্যানার্জিকে নামিয়ে কিছুটা চাপ দেওয়ার চেষ্টা করলেও সম্পূর্ণটাই বিফলে গেল ইস্টবেঙ্গলের। উপরন্তু পেনাল্টি মিস করে লাল হলুদ ফুটবলারদের মনোবলটাই ভেঙে দিলেন জোসেফ। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন টংসিন। এর ঠিক তিন মিনিট পরেই একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। মোহনবাগান বক্সে রাজ বাস ফোরের বুকে বল লাগলেও তা পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। পেনাল্টি বাইরে মারেন ইস্টবেঙ্গলের জোসেফ। পেনাল্টি মিসের পর পুরোপুরি ম্রিয়মান হয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। এই সুযোগে গোটা খেলার নিয়ন্ত্রণ চলে আসে মোহনবাগানের কাছে। এরপর থেকে ম্যাচে একবারও দেখে মনে হয়নি যে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে ফিরতে পারে। সেই চেষ্টাটাই যেন দেখা যাচ্ছিল না কারোর মধ্যে। শেষ কবে সব ধরনের ডার্বিতে মোহনবাগানের প্রাধান্য ছিল তা নিয়ে গবেষণা চলতে পারে। ডার্বির অর্থ দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর চোখে চোখ রেখে লড়াই করে যাওয়া। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের পারফরমেন্সের ক্রমাগত নিম্নগামিতার ফলে ডার্বির এই সংজ্ঞাই যেন বদলে যেতে বসেছে।
Comments :0