Bailey Bridge Collapses

ফের ভাঙল বেইলি ব্রিজ, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা

জাতীয় রাজ্য

সেতু ভেঙে ফের বিপর্যয় ঘটলো উত্তর সিকিমে। উত্তর সিকিমের মঙ্গন ও ডোংজুর সংযোগকারী সংকলাংয়ে তিস্তা নদীর ওপর সানতালা খোলা ব্রেইলি ব্রিজ মাঝ বরাবর ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উত্তর সিকিমের মঙ্গন ও চুংথাং’র মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় যোগাযোগ রক্ষাকারী সেতু এটি। জঙ্গুর সাথে সরাসরি যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটেছে। সেতুটি ভেঙে পড়ায় লাচেন ও লাচুঙের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঘুরপথে ডিকচু হয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মঙ্গলবার একটি পর্যটক বোঝাই ছোট গাড়ি সেতুটি পার হবার পরেই সেতুটি ভেঙে পড়ে। হঠাৎ করে সেতুটি ভেঙে পড়ায় অল্পের জন্য প্রানে বাঁচলেন পর্যটকরা। কিছুটা হলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিভাবে সেতু বিপর্যয় ঘটলো বা সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় কোথাও কোন পর্যটক আটকে রয়েছে কিনা পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে মঙ্গন জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থলে মঙ্গন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পৌঁছে গিয়েছেন।   
এর আগে গত বর্ষায় এই সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হবার কারণে দীর্ঘদিন যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ ছিলো। এরপরেই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মাত্র ৭২ঘন্টা সময়ের মধ্যে সেতুটি পুর্ননির্মান করা হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়। জানা যাচ্ছে, সেতুটি ভেঙে পড়ার দরুন বহু পর্যটক আটক পড়েছেন। স্বাভাবিকভাবে লাচেন, লাচুঙ, ইয়ুংথাম এই সমস্ত জায়গাতেই পর্যটকদের ভিড়ে গমগম করে। ডোংজু এলাকায় পর্যটকদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম থাকে। তবে উত্তর সিকিমের এই ব্রেইলি সেতু বিপর্যয়ে ঠিক কতো সংখ্যক পর্যটক আটকে রয়েছেন তা জানতে স্থানীয় পর্যটন সংস্থাগুলির সাথে যোগাযোগ করছে মঙ্গন জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি স্থানীয় ব্লক লেভেল অফিসারদের তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। 
উল্লেখ্য গত ২০২৪সালের সেপ্টেম্বর মাসের অতিবৃষ্টির দরুন সেতুটি দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সময় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেতুটির নির্মান কাজ করে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে। কয়েকমাস কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার ফের আচমকাই সেতুটি ভেঙে পড়ে। তবে ব্রেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় হতাহতের কোন খবর নেই। এই প্রসঙ্গে হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজন ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, ঘুরপথে সিকিম যাবার ক্ষেত্রে সেতুটি ব্যবহার করা হতো। সেতুটি বহুদিন থেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দ্রুততার সাথে ব্রিজটি মেরামতির কাজ শুরু করা হবে। ইতোমধ্যেই মঙ্গন জেলা প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বিপর্যস্ত সেতুর আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে বিপর্যয় না ঘটে সেকারনে স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ যেন বিপর্যস্ত সেতুর আশেপাশে না আসেন। গোটা বিষয়টির ওপর নজর রেখে চলেছে মঙ্গন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। পাশাপাশি বিকল্প সেতু তৈরীর বিষয়ে সেনাবাহিনীর সাথে আলোচনা চলছে জেলা প্রশাসনের।

Comments :0

Login to leave a comment