কর্পোরেটের দিকে তাকিয়েই হয়েছে এই বাজেটও। কৃষিঋণ মকুব করা হয়নি। কিন্তু এবারেও ছাড় পেয়েছে কর্পোরেট।
লোকসভায় কেন্দ্রীয় বাজেটের ওপর আলোচনায় এই ভাষাতেই সরব হলেন বিরোধীরা।
বিরোধীরা বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাজেট সারা দেশের দিকে তাকিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে মুখ্যত দিল্লি এবং বিহারের ভোটের দিকে তাকিয়ে।
চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ থেকে নেমে ৬.৪ শতাংশ হওয়ার অনুমান জানিয়েছে জাতীয় নমুনা সংগঠনই। নৈমিত্তিক খাদ্যদ্রব্যে বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধির হার ৮.৩৯ শতাংশ। বৈষম্য মারাত্ম। স্বাদীনতার পর এইমাত্রায় কখনও পৌঁছায়নি বৈষম্যের স্তর। ওপরতলার মাত্র ১ শতাংশের হাতে চলে গিয়েছে ৪০ শতাংশ সম্পদ। কর্মহীনতার মাত্রা ভয়াবহ, সামাজিক সুস্থিতির শর্তগুলি বিঘ্নিত। অথচ ধনীদের ঋণ মকুব হয়েই চলেছে।
সংক্ষেপে এই বিষয়গুলিতেই সরব হয়েছেন বিজেপি বিরোধী সাংসদরা।
বিরোধী সরকার রয়েছে এমন সব রাজ্যে ১৫দশ কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের বরাদ্দ কমেছে মারাত্মক হারে। কংগ্রেস সাংসদ জি কুমার নায়েক বলেছেন, কর্ণাটকে অর্থ কমিশন কেন্দ্রীয় করে রাজ্যের ভাগ ২৩ শতাংশ কমিয়েছে। রাজ্যগুলিকে তাদের প্রাপ্য দিতে হবে।
রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেছেন, কোষাগারীয় ঘাটতি কমাতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারাম দু’টি বিপজ্জনক পদক্ষেপ নিয়েছেন। একটি হলো কমিয়ে দিয়েছেন মূলধনী ব্যয়। ফলে পরিকাঠামো এবং কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। দুই, রাজ্যগুলির অনুদান বাবদ বরাদ্দ কমিয়েছেন। এই দৃষ্টিভঙ্গি অর্থনীতি হিসেবে নিম্নমানের।
একশো দিনের কাজে মজুরি বাড়ানোর পক্ষেও সওয়াল করেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। ন্যূনতম বেতন আইনে বেতন বাড়ানোর পক্ষেও মত জানান তিনি।
চিদাম্বরম বলেন, ‘‘এসব কিছুই শীতারামন করেননি। তাঁর লক্ষ্য ছিল দিল্লির ভোট। মধ্যবিত্ত ভোট টানতে আয়কর ছাড়ের ঘোষণা করেছেন তিনি।’’ দিল্লিতে বিজেপি’র জয়ের উল্লেখ সরাসরি না করেও চিদাম্বরমের মন্তব্য, একটি লক্ষ্য হাসিল যদিও করতে পেরেছেন অর্থমন্ত্রী।
Budget Discussion
বাজেট কর্পোরেটের, সংসদে সরব বিরোধীরা
![](https://ganashakti-new-website.s3.ap-south-1.amazonaws.com/24031/67aa19a73fe7d_parliament-new.jpg)
×
Comments :0