Left FRONT SANDESHKHALI

বসিরহাটে নিরাপদ সর্দার, সব থানায় বিক্ষোভের ডাক বামফ্রন্টের

রাজ্য কলকাতা

নিরাপদ সর্দারকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁশদ্রোণী থানার সামনে বিক্ষোভ।

রাজ্যের সব থানায় সামনে বিক্ষোভ দেখাবে বামফ্রন্ট। সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে সোমবারও বিক্ষোভ হবে।  পরীক্ষা থাকায় মাইক ব্যবহার না করে সব থানার সামনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন বামফ্রন্ট সভাপতি বিমান বসু। 
রবিবার বাঁশদ্রোণী থানার সামনেই পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য এবং প্রাক্তন বিধায়কের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করে দেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের মর্জি অনুযায়ী পুলিশ চলছে। এরা আইনের শাসন চায় না, লুটের শাসন চায়। সন্দেশখালিতে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে রাতে অপারেশনের জন্য।’’
এদিনই সন্দেশখালির ন্যাজোটে যুব এবং মহিলা নেত্রীদের বাধা দেয় পুলিশ। নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে যান তাঁরা। কিন্তু ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি এবং সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা মুখার্জি র নেতৃত্বে প্রতিবাদীরা সমবেত ছিলেন। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে পড়ে ভিড়ের চাপে।
বিকেল পাঁচটা নাগাদ নিরাপদ সর্দারকে নিয়ে বসিরহাট থানায় পৌঁছায় পুলিশ। 
সকাল থেকেই বাঁশদ্রোণী থানার সামনে ছিল সিপিআই(এম) নেতা এবং কর্মীদের ভিড়। পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডায়ও হয় নিরাপদ সর্দারকে তুলে নিয়ে আসার সময়। পৌঁছে যান বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ আইনজীবীরা। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কোন বিধিতে জানতে চান তাঁরা। অ্যরেস্ট মেমো ছাড়া গ্রেপ্তার করা যাবে না জানিয়ে দেন তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ থানায় বসিয়ে রাখার পর সন্দেশখালি থেকে আসেন পুলিশের আরেকদল আধিকারিক। তাঁকে সন্দেশখালিতে নিয়ে যাওয়া হয়। 
থানার সামনে বিশাল বিক্ষোভ তখন মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে মিছিল করেন বাঁশদ্রোণী এলাকায়। 
বাঁশদ্রোণী থানার সামনে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘৮ তারিখের এফআইআর’র ভিত্তিতে এখানে নিয়ে এসেছে। কে এফআইআর করেছে, শিবুহাজরা। যাকে ওখানকার মহিলারা বলছেন ধরো, তাকে দিয়ে এফআইআর করানো হচ্ছে। হয়েছে মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে নবান্নের নির্দেশে।’’ 
তিনি বলেন, ‘‘৭ তারিখের ঘটনা, যে মহিলাদের ইজ্জত নিয়ে খেলছে তৃণমূল, সম্পত্তি লুট করেছে, তাঁরা যখন ঝাঁটা হাতে বেরিয়ে এসেছেন, তখন প্রতিবাদী ১১১ জনের নামে এফআইআর করেছে। নিরাপদ সর্দারের নাম এক নম্বরে রেখেছে। 
নিরাপদ সে সময় রাজ্য কমিটির বৈঠকে ছিল। ৮ তারিখে বীরভূমে খেতমজুর ইউনিয়নের কর্মসূচিতে গিয়েছিল।’’
তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ আসল অপরাধীকে ধরেনি। উত্তম সর্দারকে গ্রেপ্তার করেছে মানুষের হাত থেকে বাঁচাতে।’’   
বাঁশদ্রোণী থানায় যান আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যও। তিনি বলেছেন, ‘‘আসলে লক্ষ্য দুটো। অপরাধীদের আড়াল করা এবং প্রতিবাদীদের ভয় দেখানো।’’ 
ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পুলিশ বলছে নিরাপদ সরদার আন্দোলন উসকেছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তা করে তো উনি ঠিক করেছেন।  আইনের লড়াই চলবে, রাস্তায় লড়াই চলবে।’’ 
বামফ্রন্টের দাবি, সন্দেশখালি থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহাত করতে হবে, লুটেরা শেখা শাহজাহান এবং সাকরেদ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের গ্রেপ্তগার করতে হবে। ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে হবে। নিরাপদ সর্দারকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment