খান ইউনিসের হাসপাতালে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইজরায়েলের সেনা। মৃত্যু হয়েছে ৬ রোগীর। সকলেই চিকিৎসাধীন ছিলেন এই হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। অক্সিজেনের সরবরাহও বন্ধ করা হয়েছে। যার জেরে পরপর রোগী মারা যাচ্ছেন।
বেছে বেছে হাসপাতালে সমানে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলের সেনা। গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসে এই হাসপাতালেই এর আগে হামলা চলেছে। গুরতর বিপর্যয়ের সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই শাখা বলেছে সব আন্তর্জাতিক বিধি অমান্য করে অসুস্থ রোগীদের জোর করে হাঁটানো হচ্ছে।
কিন্তু এত কিছুর পরও অবস্থান বদলানোর বিন্দুমাত্র ইঙ্গিত দেননি ইজরায়েলের অতি দক্ষিণপন্থী সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতাননিয়াহু। তিনি উলটে বলেছেন, ‘‘প্যালেস্তাইনকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়া যবে না। এমন প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। সেক্ষেত্রে বেনজির সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা হবে।’’
গাজার দক্ষিণে আশ্রয়হারানো নাগরিকরা জড়ো হয়ে রয়েছেন রাফাহ সীমান্তে। এখানেই বেপরোয়া হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইজরায়েল। রাফাহ দখল করা হবেই, বার্তা দিয়েছে ইজরায়েল। মিশর দেওয়া তুলছে যাতে প্যালেস্তানীয়রা প্রাণ বাঁচাতে তাদের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়তে না পারে। প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষ বিপন্ন হওয়ার অপেক্ষায়।
বিশ্ব জনমত এর মধ্যেই প্যালেস্তাইনে দখলদারির প্রতিবাদে রাস্তায়। আন্দোলনে প্রশ্ন উঠছে, ইজরায়েলের সেনা সংগঠিত ভাবে নারী ও শিশুদের ওপর যা চালাচ্ছে তাতে সন্ত্রাসবাদের চেয়ে বিপদ কোনও অংশে কম নয়।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘‘গাজার পরিস্থিতি প্রমাণ করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে স্থায়ী বিভাজনের ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে গাজায়। মৃত্যু এবং ধ্বংসের মাত্রা বিপর্যয়কর। মধ্য প্রাচ্যের আরও বড় অংশে এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যও ব্যাহত হচ্ছে।’’
লেবাননের সশস্ত্র হিজবুল্লা গোষ্ঠী আবার দাবি জানিয়েছে যে গোলান হাইটসে দখলদার ইজরায়েল সেনার ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত ছোঁড়া হয়েছে। ১৯৬৭’র যুদ্ধে সিরিয়ার থেকে গেলান হাইটস দখল করে নেয় ইজরায়েল।
Comments :0