টানা ১৪ মাস দানাশস্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের ওপর। খাদ্যদ্রব্যে মূল্যবৃদ্ধি টানা ১০ শতাংশের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করেছে। তবু কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দাবি, জিনিসপত্রের দাম সামলে রাখতে সফল হয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সীতারামন বলেছেন, ‘‘পচনশীল খাদ্যদ্রব্যের জোগানে সমস্যা ছিল। বিশেষ করে যেগুলি ভারতে উৎপন্ন হয় না। তা সত্ত্বেও মূল্যবৃদ্ধির হার নেমে এসেছে সহনীয় সীমার মধ্যে।’’
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুপারিশ অনুযায়ী সরকারকে ক্রেতামূল্য সূচক ৪ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখতে হবে। তবে ২ শতাংশ কম-বেশি হতে পারে। সীতারামন দেখিয়েছেন যে ২০২২’র এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরে ক্রেতা মূল্যসূচক ছিল ৬.৮ শতাংশ। ২০২৩’র একই পর্বে তা কমে হয়েছে ৫.৫ শতাংশ।
মূল্য সূচক ঠিক করার সময় আমজনতা কেনাকাটা করেন এমন বিভিন্ন জিনিসই হিসেবে রাখা হয়। সব মিলিয়ে যে হার অর্তমন্ত্রী তা উল্লেখে এনেছেন। ঘটনা হলো, আলাদা করে খাদ্যদ্রব্যের হার বারেবারেই সহ্যসীমার বাইরে থেকেছে।
যেমন খাদ্যশস্যে মূল্যবৃদ্ধির হার সাধারণের বাজারে ১০ শতাংশের ওপরে প্রায় ১৪ মাস টানা থেকেছে। ডালের ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের ওপরে থেকে ২০২৩’র পাঁচ মাস। নরেন্দ্র মোদী সরকার আসীন হওয়ার পর থেকে ডাল এবং ভোজ্য তেলের দাম এমনিতেই কেজি’তে একশো টাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। নভেম্বরেই খাদ্যদ্রব্যে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৮.৭০ শতাংশ। তা ওপর মাঝে পেঁয়াজের দাম চড়ে ছিল দীর্ঘসময়।
সীতারামন বলেছেন, পেঁয়াজের ক্ষেত্রে আপৎকালীন মজুতের সীমা ১ লক্ষ টন ছিল ২০২০-২১ অর্থবর্ষে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই সীমা ৭ লক্ষ টন করা হয়েছে।
INFLATION PARLIAMENT
নাকাল জনতা, খাদ্যদ্রব্যে মূল্যবৃদ্ধি সামলে নেওয়ার দাবি সীতারামনের
×
Comments :0