নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত এবং তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।
বিরোধী দলের অভিযোগ, ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য বিজেপির ‘দুর্নীতিগ্রস্ত কৌশল’ যেমন ‘টাকার বিনিময়ে’, সংস্থাগুলিকে অনুদানের বদলে ‘সুরক্ষা’ প্রদান, ‘ঘুষ’ গ্রহণ এবং ভুও কোম্পানির মাধ্যমে অর্থ পাচারের মতো ‘দুর্নীতিগ্রস্ত কৌশল’ উন্মোচিত করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ইলেক্টোরাল বন্ড প্রকল্প সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসার একদিন পরেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী বলছেন ‘না খাব, না খেতে দেব’, কিন্তু মনে হচ্ছে তিনি কেবল ‘শুধু বিজেপি কে খাওয়াবো’ বোঝাতে চেয়েছেন।
অন্য একটি পোস্টে তিনি বলেন, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে বিজেপি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত মোট অর্থের প্রায় ৫০ শতাংশ পেয়েছে, যেখানে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস মাত্র ১১ শতাংশ তহবিল পেয়েছে।
খাড়গে বলেন, এটা খুবই উদ্বেগের বিষয় যে কংগ্রেস দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হলেও বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যারা ‘‘অবৈধভাবে কয়েকশো কোটি টাকা হাতিয়েছে’’। তাই তদন্তের পাশাপাশি আমরা দাবি করছি, ইলেক্টোরাল বন্ড স্কিমের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থের অবৈধ প্রকৃতির কারণে বিজেপির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে ফ্রিজ করা হোক।
কংগ্রেস সাংসদ তথা সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, ‘‘ইডি/সিবিআই/আইটি হানা এবং নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদানের মধ্যে যোগসূত্র ‘‘অনুমানের’’ উপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল, ‘‘আমরা তাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি কে কোন রাজনৈতিক দলকে কত অনুদান দিয়েছে তার সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করতে’’।
কংগ্রেস ইউনিক বন্ড আইডি নম্বরও দাবি করেছে, যাতে দাতা এবং গ্রহীতার মধ্যে মিল পাওয়া যায়। রমেশের কথায়, ‘‘শীঘ্রই এই স্যুট-বুট-লুট-ঝুট সরকারের লুকানোর কোনও জায়গা থাকবে না’’।
ELECTORAL BOND
বিজেপির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করার দাবি কংগ্রেসের
×
Comments :0