Electoral Bond Yechury

নির্বাচনী বন্ড বিপুল লুট, শাস্তি দিতে হবে বিজেপি’কে: ইয়েচুরি

জাতীয়

কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক তোলাবাজি, অর্থ নিয়ে বরাত দেওয়া এবং টাকা পাচার। নির্বাচনী বন্ড ঘিরে এই তিন ধরনের দুর্নীতিই চলেছে। শুক্রবার একটি ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। 
ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘নির্বাচনী বন্ড একটি গুরুতর কেলেঙ্কারি। তার জন্য দায়ী কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। রাজ্যসভায় সরকারপক্ষ কমজোরি ছিল। সে কারণে অর্থ বিল পেশ করে আইন করা হয় নির্বাচনী বন্ড চালুর জন্য।’’ 
উল্লেখ্য, অর্থ বিল লোকসভায় পাশ হলে রাজ্যসভার বাতিল করার উপায় থাকে না। ইয়েচুরি বলেন, ‘‘এভাবে বিল পাশ করানোও প্রতারণা। এই পুরো বন্দোবস্ত আসলে বেপরোয়া লুট। বিজেপি’কে শাস্তি দিতে হবে এই নির্বাচনে।’’  
তিনি বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দুর্নীতিকে বৈধ করার ব্যবস্থা নির্বাচনী বন্ড। সিপিআই(এম) এই কারণেই নির্বাচনী বন্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে। সেই বক্তব্যকেই সঠিক প্রমাণ করছে তথ্য।’’ 
ইয়েচুরি বলেন, ‘‘কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে প্রাথমিক তথ্যেই তা ধরা পড়ছে। সুপ্রিম কোর্ট যদিও পূর্ণ তথ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ককে। প্রতিটি বন্ডের লেনেদেনের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই রায়কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’’ 


ইয়েচুরি বলেন, ‘‘সংসদেও আমরা বলেছিলাম। অর্থবিলে মাধ্যমে নির্বাচনী বন্ড চালু করা হয়েছিল। সেই বিলের আলোচনায় সিপিআই(এম) বলেছিল যে এই ব্যবস্থায় রাজনৈতিক তোলাবাজির বিপুল বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। ইডি বা আয়কর দপ্তরের তল্লাশির পর নির্বাচনী বন্ড কিনতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থাকে। বন্ডের মাধ্যমে তহবিলে টাকা জমা পড়ে যাওয়ার পরই দেখা যাচ্ছে তদন্ত ঠাণ্ডাঘরে চলে যাচ্ছে। এজেন্সিকে ব্যবহার করে তোলাবাজি স্পষ্ট।’’ 
তিনি বলেন, ‘‘দ্বিতীয় দিক হলো, যারা বন্ড কিনেছে এবং টাকা দিয়েছে বিনিময়ে মোটা টাকার সরকারি কাজের বরাত পেয়েছে। এই দেওয়া-নেওয়ার আশঙ্কাই জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আমরা বারবারই এই আশঙ্কার কথা সংসদে জানিয়েছি। সেটিই সত্য হলো।’’ 
তিনি বলেন, ‘‘তৃতীয় দিক হলো টাকা পাচার। এমন বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে যাদের কেনা বন্ডের অঙ্ক মুনাফার একশো গুন! শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোনো সংস্থা এ ভাবে লেনদেন করতে পারে না। কারণ শেয়ার হোল্ডারদের কাছে তারা জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে।’’ 
তার মানে কী হচ্ছে? 
ইয়েচুরির ব্যাখ্যা, ‘‘কিছু সংস্থাকে সামনে রেখে অন্য সংস্থা তাদের মাধ্যমে বন্ড কিনেছে। এভাবে বেহিসেবি টাকাকে বৈধ করা হয়েছে। তাকেই নির্বাচনী তহবিলে অনুদান বলে দেখানো হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে সিংহভাগই গিয়েছে সরকারে আসীন দলের তহবিলে।’’

Comments :0

Login to leave a comment