চিত্তরঞ্জন লেবার ইউনিয়নের জয়ে লাল আবিরের আভায় ভাসল রেল শহর। রেলের এই উৎপাদন কেন্দ্রে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ইউনিয়নের স্বীকৃতি দিতে হবে। এই দাবিতে দীর্ঘ ৭০ বছর আন্দোলন শেষে জয় ছিনিয়ে আনল লেবার ইউনিয়ন।
গত ৪ ডিসেম্বর এই নির্বাচন হয়। বৃহস্পতিবার গণনায় দেখা যায় সর্বোচ্চ ভোটে লেবার ইউনিয়ন স্বীকৃতি ছিনিয়ে এনেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেস।
দুপুর আড়াইটে নাগাদ সিআইটিইউ অনুমোদিত লেবার ইউনিয়নের জয়ের আভাস আসতেই রেল শহর লাল আবিরের আভায় রঙিন হয়ে ওঠে। এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৭৫৪০ জন। প্রদত্ত ভোট ৭০৪৪। লেবার ইউনিয়নের পক্ষে প্রাপ্ত ভোট ৩০২৬। রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেস পেয়েছে ২৯১৬টি ভোট। কর্মচারী সঙ্ঘের ভোট ৮১৪।
এই নির্বাচনেও বাম বিরোধী শক্তি পুরো ভূমিকা নিয়েছিল।
এর আগে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দিয়ে বিভিন্ন দাবি আদায় করা গেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রশাসনের সদিচ্ছার উপরেই তা নির্ভরশীল ছিল। স্টাফ কাউন্সিলের মতামতকে বহু ক্ষেত্রেই উপেক্ষা করা হতো। চিত্তরঞ্জন লেবার ইউনিয়ন তার জন্ম লগ্ন থেকে এই কারণেই ইউনিয়নের স্বীকৃতির দাবি করে আসছিল।
এই ঐতিহাসিক জয়ে ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত ইউনিয়নের কর্মী সমর্থক এবং রেল কর্মীদের অভিনন্দন জানান। ইউনিয়নের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ শ্রমিক নেতা নির্মল মুখার্জি এই জয়ের সংবাদে আনন্দ বিহ্বল হয়ে পড়েন। অভিনন্দন জানিয়েছেন সিআইটিইউ পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী, শ্রমিক নেতা আভাস রায়চৌধুরী সহ সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ।
রাজ্যের শাসক দল ঘনিষ্ঠরা প্রশাসনের একাংশের মদতে বামপন্থী শ্রমিক কর্মচারীদের হুমকি দেয়। ভয়ও দেখায়। তা সত্ত্বেও জয় ঠেকানো যায়নি।
Chittaranjan Labor Union
৭০ বছর লড়াইয়ের জয়, স্বীকৃতি ছিনিয়ে আনল লেবার ইউনিয়ন
×
Comments :0