সূত্রের খবর, লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে পরিচালনা করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি উপস্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপির লোকসভা নির্বাচনী ইশতেহারে একযোগে ভোট অনুষ্ঠিত করা অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশ মেনে নেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই এই ঘটনা ঘটল। ধাপে ধাপে লোকসভা, রাজ্য বিধানসভা ও স্থানীয় সংস্থাগুলির ভোট করানোর সুপারিশ করেছে কমিটি।
তবে, এই পদক্ষেপটি কংগ্রেস, বাম এবং আপের মতো বেশ কয়েকটি ইন্ডিয়া ব্লকের দলের বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছে, যারা অভিযোগ করেছে যে এটি একমাত্র বিজেপিকেই সাহায্য করবে। নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং চিরাগ পাসোয়ানের মতো এনডিএ-র প্রধান শরিকরা একসঙ্গে ভোটকে সমর্থন করেছে।
সূত্রের খবর, বিলটি আঁতশ কাঁচের আওতায় আসবে জেনেই সরকার একটি বিস্তৃত ঐকমত্য গড়ে তুলতে আইনটি একটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে (জেপিসি) পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। তাছাড়া বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সমাজের সদস্যরা ছাড়াও সব রাজ্যের বিধানসভার স্পিকারদের মতামত নেওয়া হবে। সূত্র জানায়, জনসাধারণের কাছ থেকেও মতামত চাওয়া হবে।
১৮,৬২৬ পাতার রিপোর্টে কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন প্যানেল দু’দফায় এই পদক্ষেপ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে একসঙ্গে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপে লোকসভা এবং রাজ্যগুলির নির্বাচনের সাথে স্থানীয় সংস্থা এবং পৌরসভাগুলির নির্বাচনকে একিভূত করার প্রশ্নটি জড়িত। এটি এমনভাবে করা হবে যাতে লোকসভা নির্বাচনের ১০০ দিনের মধ্যে স্থানীয় সংস্থা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে এর জন্য কমপক্ষে অর্ধেক রাজ্যের অনুমোদন লাগবে।
কমিটি ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বাস্তবে রূপ দিতে ১৮টি সংবিধান সংশোধনের সুপারিশ করেছে।
One nation one vote
‘এক দেশ এক ভোট বিল’'-এ অনুমোদন মন্ত্রীসভার, পেশ হতে পারে শীতকালীন অধিবেশনে
×
Comments :0