প্রবীর দাস: বসিরহাট
মালিকদের অনড় মনোভাবে কার্যত ভেস্তে গিয়েছে বুধবারের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। বৈঠকে মালিকরা বিড়ি শ্রমিকদের ‘ভিখারি’ বলে। যৌথ সংগ্রাম কমিটির নেতৃত্ব তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। মালিকপক্ষের দেওয়া প্রস্তাব ২২৩ টাকা মজুরি খারিজ করে ন্যূনতম ২৫০টাকা মজুরির দাবিতে অনড় তাঁরা। যৌথ সংগ্রাম কমিটি জানিয়েছে, ধর্মঘট যেমন চলছে তেমনি চলবে। মালিকরা ‘ভিখারী’ বলায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ'য়ে শ'য়ে বিড়ি শ্রমিক। তাঁরা দলে দলে ঢুকে পড়ে বসিরহাট মহকুমার অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনারের কার্যালয়ে। শ্রমিকদের জেদি মনোভাব দেখে মালিকরা এএলসি’র ঘরে ঢুকে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয়। এরপর খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। শ্রমিকদের জেদি মনোভাব দেখে পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ। শেষে বসিরহাট মহকুমা বিড়ি শ্রমিক যৌথ সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দের আহ্বানে শ্রমিকরা বেরিয়ে আসেন। ততক্ষণে টাকী রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আটকে যায় যানবাহন।
বিড়ি শ্রমিকদের বড় অংশ, বিশেষত, মহিলারা দৃপ্ত কন্ঠে একযোগে জানিয়ে দেন ধর্মঘট চলবে। তাঁরা বলছেন, ‘আমরা না খেতে পেলে মালিকদেরও খেতে দেব না। প্রয়োজনে মালিকদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে।’
এদিন সমাধান সূত্র না মেলায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পরবর্তী ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন ২৪০ টাকা মজুরির প্রস্তাব দেয়। শ্রমিকরা সেই প্রস্তাব খারিজ করেছেন। সরকার নির্ধারিত মজুরি ২৭৩ টাকা ৫৮পয়সা। মালিকপক্ষের অমানবিক আচরণে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এদিন দলে দলে সমবেত হন বসিরহাট স্টেশন চত্বরে। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে টাকী রোডের ধারে এএলসি দপ্তরে তখন শুরু হয়েছে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। বৈঠকে এএলসি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট মহকুমা বিড়ি শ্রমিক যৌথ সংগ্রাম কমিটির নেতা নুরুল ইসলাম মোল্লা, আবদুল খালেক খান, রফিকুল ইসলাম মোল্লা, দেবব্রত বিশ্বাস ও সুবল দাস। বাইরে হয়েছে বিক্ষোভ সভা। বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা মীর কাশেম মোল্লা, সোমনাথ বসু,আবদুর রহিম মল্লিক, সাত্তার গাজি,ফজের আলি গাজি, বিদ্যুৎ গায়েন, সমরেশ ভৌমিক আব্দুল আজিজ খান। সভা শেষে প্রতিবাদ মিছিল হয়। বসিরহাট স্টেশন চত্বর ঘুরে
উল্লেখ্য গত নভেম্বর মাস থেকে বিড়ির মজুরি বৃদ্ধি সহ ছয় দফা দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের আন্দোলন চলছে।
Comments :0