Post Editorial Ganashakti

নেই নেই করেও অনেক কিছু আছে

সম্পাদকীয় বিভাগ

Post Editorial Ganashakti

অতনু সাহা


মহানগরে ধরনা ছয়শো দিন পেরিয়ে গেছে। শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের যে ধরনা চলছে, তাঁদের দাবি, চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাতলিকায় থাকা যোগ্য প্রার্থীদের স্কুলে চাকরি চাই। কয়েক লক্ষ করে টাকা দিয়ে শূন্য পেয়েও যে হাজার হাজার চাকরি হয়েছে তা বেআব্রু হয়ে গেছে আদালতে।
আবাস যোজনা নিয়ে রোজ বিক্ষোভ চলছে রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। তাঁদের দাবি গরিব লোকের নাম উঠুক তালিকায়। অর্ধেক টাকা তৃণমূল নেতার পকেটে দিয়ে যেন নাম তুলতে না হয়।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে আরেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঘুরতে হচ্ছে যাঁকে, তাঁর দাবি একটু সুস্থ চিকিৎসার।

লক্ষীর ভাণ্ডারের পাঁচশো টাকা পেয়েও যাঁর ঘরে একবেলাও ঠিকমতো ভাত চড়ে না তাঁর দাবি দু’বেলা খেতে পাবার।
যে পরিযায়ী শ্রমিক ঘর ছেড়ে ভিন রাজ্যে তাঁর দাবি এরাজ্যেই একটা কাজ। ঘরে থাকার নিদারুণ আরজি।
গ্রামে গ্রামে কাজের হাহাকার। রেগায় কাজ নেই, সামান্য কয়েকদিনের কাজ মিললেও টাকা নেই। টাকা কিছু মিললেও আধাআধি কাটমানি।
যে সাংস্কৃতিক কর্মী নাটক করতে গিয়ে মার খান, কিংবা কার্টুন এঁকে জেলে যান, রাস্তায় দাবি জানাতে গিয়ে পুলিশ হেপাজত, থানায় কোর্টে জেরবার ধর্ষিতার পরিবারে দাবি ভালোভাবে নিরুপদ্রবে বাঁচার।

প্রত্যেকের আলাদা আলাদা দাবি। আসলে একটাই দাবি। এরাজ্যের নাগরিক পরিসরে উঠে আসছে যৌথ দাবি। এই ভয়াবহ অরাজকতার অবসান। এ দাবি যত স্পষ্ট হয়ে উঠছে নাগরিক ভাবনায়, জনসংযোগে, মিছিলে, সংগঠিত আন্দোলনে, ব্যারিকেডের ওপারে থাকা নেতা ও মন্ত্রীবর্গ এবং তাদের বাহিনী ততটাই নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। নড়বড়ে যে হয়ে যাচ্ছে তা আস্ফালন দিয়ে ঢাকা যাচ্ছে না।
রাজ্যে এখন ‘নেই’ এর দীর্ঘ তালিকা। কাজ নেই, নিরাপত্তা নেই, সুস্থ পরিবেশ নেই, এমন একটা কিছু এরা ছাড়েনি যেখানে বিন্দুমাত্র ভরসা রাখা যায়। বেশি দিন নয়, গত শারদ উৎসবের সময়ের কথা। মালবাজারে আকস্মিক হরপা বানে ভেসে গেল শিশু-যুবক-বৃদ্ধ, মহিলা পুরুষ অনেকগুলো মানুষ। তাঁদের খুঁজে বার করার ব্যবস্থার আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন কার্নিভালের নির্ঘণ্ট।
কিন্ত এই নেই নেই -এর মধ্যেও অনেক কিছু আছে। ক্ষোভ আছড়ে পড়া আছে, ব্যারিকেড ভেঙে পড়া আছে।

এই চালচিত্রে সংবাদমাধ্যম কোথাও আছে, কোথাও নেই। কোথাও ভিন্ন ভূমিকায়। সোজা করে বললে উপস্থাপনায় বিনোদন আছে, সাধারণের জীবন-জীবিকার প্রশ্নে অবশ্যই নেই। সংবাদ এখানে নির্মাণ হয়। দুর্নীতির প্রসঙ্গ সংবাদমাধ্যমে নেই? দিব্যি আছে। টাকার পাহাড়ের ছবি আছে। নেতা, মন্ত্রী, আমলার জেল যাওয়া তাও আছে। উপস্থাপনায় চাঞ্চল্য আছে। কিন্তু জনপ্রতিবাদের কোনও জায়গা নেই। আলাদা আলাদা করে দাবির কথা কিছু থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু সব দাবি মিলে গিয়ে যখন যৌথ দাবি হয়ে ওঠে, এই ভয়াবহ নৈরাজ্যের মাথা ধরে টানার প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়, তখন কর্পোরেটে বাঁধা পড়া মিডিয়া মুখ লুকিয়ে নেয়। দুর্নীতি অরাজকতার যাবতীয় ঘটনাবলী তখন নেহাতই রাজনৈতিক বিনোদনের জনপ্রিয় টিভি শো।
প্রতিবাদ আর নাগরিক প্রতিস্পর্ধার ঘটনাক্রম থেকে সংবাদমাধ্যম নিজেকে এভাবেই গুটিয়ে রেখেছে।
বগটুইয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা মিডিয়ায় আসেনি? এসেছে। তদন্তের নিস্পৃহ ধারাবিবরণী ছিল, আদালতের কথা ছিল, সিআইডি না সিবি‌আই তাই নিয়ে তরজা ছিল। কিন্তু তৃণমূলের দ্বন্দ্ব যতটা সম্ভব আড়ালে রেখেছে, কর্তাব্যক্তিদের তো বটেই। সেই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠার খবর গোপনে রাখার তোড়জোড় করেছে।

আনিস খানের খুন, ছাত্র, যুবদের একের পর এক আন্দোলনের যখন উত্থান হচ্ছে, মিডিয়া তখন চুপ। 
নিয়োগ দুর্নীতি, যোগ্যদের অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান। লাগাতার লড়াই-অনশন, পুলিশের মার মিডিয়ায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র।
কয়লা, গোরু পাচারের তদন্ত, দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার গ্রেপ্তার, সিট সিআইডি সিবিআই, আদালতের নির্মাণ করা গল্প, এই পর্যন্ত। গোটা রাজ্যে তার যে আছড়ে পড়া প্রভাব, নাগরিক পরিসরে যে তীব্র আলোচনা সংবাদমাধ্যমে তা কোথায়?

একশো দিনের মজুরি, কাজের দাবি এবং তা নিয়ে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গোটা রাজ্যে। পাঁচামীতে আদিবাসীদের লাগাতার আন্দোলন। বছরভর ছাত্রদের আন্দোলন। যুবদের রাজ্যজুড়ে আন্দোলন ধর্মতলায় বাঁধভাঙা সমাবেশে ‘ইনসাফ’ যখন নজর কাড়ছে, তখনই মিডিয়া বিজেপি-তৃণমলের ডিসেম্বর তরজাকে সিগনেচার টিউনে দাঁড় করাতে ব্যস্ত। কারণ ততক্ষণে ‘চোর তাড়াও, গ্রাম বাঁচাও’ আহ্বান জানিয়ে খেতমজুর, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুব, মহিলাদের গ্রামে গ্রামে পদযাত্রা, ঘরে ঘরে গিয়ে জনসংযোগ নজর কাড়তে শুরু করেছে। 
প্রতিবাদ তখনই প্রকৃত অর্থে শক্তিশালী হয়ে ওঠে, যখন তা নাগরিক জীবন থেকে উঠে আসে। বামপন্থী রাজনৈতিক দল বিভিন্ন সংগঠন ও গোষ্ঠী বা ব্যক্তি উদ্যোগ এই প্রতিবাদের গভীরতাকে নিঃসন্দেহে বাড়িয়ে তুলেছে।

নির্বাচনী অঙ্ক মেনে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কিন্তু ঘটনাচক্রে এটাও সত্যি এরাজ্যের বেঁচে থাকার দৈনন্দিন লড়াইয়ে বিজেপি অপ্রাসঙ্গিক। প্রথমত, তৃণমূলের সঙ্গে তাদের বিচিত্র আসা-যাওয়ার সম্পর্ক। দ্বিতীয়ত, বিরোধিতার নামে আসলে বিভাজনের রাজনীতি। তাদের সর্বনাশা সাম্প্রদায়িকতা রাজ্যকে খাদের কিনারায় এনে দাঁড় করিয়েছে। এখানেই তৃণমূলের সঙ্গে তাদের মূলগত সখ্য।

এখন তো দুর্নীতির ধুম পড়েছে রাজ্যে। যা একসময় তৃণমূল শুরু করেছিল মহা ঘটা করে, এখন বিজেপি’ও তাতে রয়েছে মহাসমারোহে। যে অনৈতিক আগ্রাসন তৃণমূল একসময় শুরু করেছিল, গত কয়েক বছরে বিপুল পরাক্রমে সক্ষমতা দেখাচ্ছে বিজেপি’ও। পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক উসকানিকে তৃণমূল রাজনৈতিক চেহারা দিয়েছিল। বিজেপি তার হিংস্র চেহারা আরও খুলে দেখাবে এটাই স্বাভাবিক। এক দশক আগেও এরাজ্যে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি দাঁত ফোটাতে পারেনি। তৃণমূল তার সুবর্ণসুযোগ করে দিয়েছে। সেই সুযোগ ক্রমান্বয়ে বাড়িয়েছে। সাম্প্রদায়িকতা কীভাবে একে অপরের শক্তিবৃদ্ধি করতে পারে, বেশ কয়েক বছর ধরে সেই মহাসত্যটি পশ্চিমবঙ্গ মর্মে মর্মে টের পাচ্ছে। 
এরসঙ্গে রয়েছে টাকার খেলা। সরকারে নেই, জেলা পরিষদে নেই, তাই তৃণমূলের মতো কোমরে দড়ি বিশেষ চোখে পড়ছে না ঠিকই, কিন্তু পদ্মদলে দুর্নীতি কতটা বিকশিত হয়েছে তা টের পাওয়া যাচ্ছে টেটের তালিকায়, বালি কয়লা গোরু পাচারে কিংবা আরও অনেগুলি ঘটনার বিবরণে। শুধু এজেন্সির তদন্ত আর আদালতের মুখের দিকে তাকিয়ে রাজনীতি করে যাচ্ছে পদ্ম শিবির। কখনও বাড়ে, কখনও কমে। মমতা-মোদী-শাহ বৈঠকগুলোর দিকে নজর রাখুন। যখনই কোনও তদন্ত মনে হচ্ছে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে, তখনই তা অনন্ত শীতঘুমে। ভেবে অবাক হতে পারেন, কিন্তু এটাই দেখছে রাজ্য। তোলাবাজি, দুর্নীতি, জবরদখলের পর যেমন তৃণমূলের স্লোগান হয় ‘পাড়ায় সমাধান’, দাঙ্গা, কর্পোরেট তোলাবাজির রেকর্ড করা বিজেপি’র স্লোগান ‘আর নয় অন্যায়’। এ এক চমকপ্রদ সমাপতন।


গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় উন্নয়ন দাঁড়িয়েছিল বাঁশ, লাঠি, বোমা, পিস্তল নিয়ে। এখন উন্নয়নের দু-চারটে স্তম্ভ জেলে গিয়েছে ঠিকই, তাই বলে গত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না এমন মনে করার কোনও কারণ ঘটেনি। কিন্তু জনঅসন্তোষের মেজাজ কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে, তার কিছু ঝলক দেখা যাচ্ছে গ্রাম-শহরের বিক্ষোভে, প্রতিদিনকার লড়াইয়ে, মিছিলে মিটিংয়ে। আবাস যোজনার ক্ষোভ তো আগুনের মতো ছড়াচ্ছে।

সময়ের নিরিখে যদি সংবাদমাধ্যমের দিকে চোখ ফেরাই তাহলে দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনার অবশ্যই কারণ আছে। সংবাদমাধ্যমে একচেটিয়া গোষ্ঠী এবং মালিকের বাণিজ্যিক স্বার্থের কাছে সাংবাদিকের স্বাধীনতা সোনার পাথরবাটি হয়ে গেছে। কমিউনিকেশন জগতে যে নতুন নতুন প্রযুক্তি এসেছে সেগুলি সঙ্কট তৈরি করেনি, মিডিয়ায় সঙ্কট তৈরি করেছে বাজার অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক স্বৈরাচার। সংবাদ এখানে পণ্য, সংবাদ নির্মাণ এক নির্মাণসামগ্রী। বৃহৎ পুঁজির এই মিডিয়াকুল এবং নীতি-নৈতিকতাবর্জিত দেশের নেতা এবং মন্ত্রীবর্গ, তাদের আমলা পারিষদ যে কোনও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সংবিধান ও আইনকে বড়ো আঙুল দেখাতে যে দ্বিধাহীন তা আমাদের চোখের সামনে। বিজেপি’র এই চরম দক্ষিণপন্থী ঝটিকা সফরে নাগরিক সম্মতি নির্মাণে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সফরসঙ্গী তো মিডিয়াই। নামে ও বেনামে, মূল মাধ্যমে কিংবা সমাজমাধ্যমে, নিউজে এবং ফেক নিউজে।  

মিডিয়াই আরএসএস-বিজেপি’র স্বপ্নপূরণে দিনরাত এক করে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছে। পুঁজির মতো মিডিয়ারও কেন্দ্রীভবন ঘটছে নিঃশব্দে। শুধু আম্বানিদের হাতেই এন্টারটেনমেন্ট চ্যানেল, নিউজ চ্যনেল, নিউজ পোর্টাল, ওয়েবপেজ মিলে সংখ্যাটা একশো ছাড়িয়ে। পিছিয়ে নেই জি গোষ্ঠী, এবিপি ও আরও কিছু। আদানিরা এবাজারে এখনও কিছুটা নতুন। বিকল্প মত যেন উঠে না আসে। এজন্যই এনডিটিভি’র মতো চ্যানেল, পোর্টালগুলোর ওপর হানাদারি, কুৎসিতভাবে কেনা-বেচার হিড়িক। যদি তাতেও না হয়, বিজ্ঞাপন বন্ধ, মামলায় মামলায় জেরবার করা। মুখ বন্ধ করার এই আইনি প্রক্রিয়াটির নাম দেওয়া হয়েছে, স্ট্র্যাটেজিক লিটিগেশন এগেনস্ট পাবলিক পার্টিসিপেশন, এসএলপিসি।

ফলে জনপরিসরে বাম আন্দোলনের যে কথাই উঠে আসুক না কেন, বোঝাই যাচ্ছে রাজ্য রাজনীতিকে দুই মেরুতে সীমাবদ্ধ রাখার নির্মাণে গণতন্ত্রের বহুবিজ্ঞাপিত চতুর্থ স্তম্ভের ধারাভাষ্য থেমে থাকবে না। জনসাড়া যে মিলছে, এই ভরসা যাতে ছড়িয়ে না যায় তার জন্য বাড়তি উদ্যোগ মিডিয়ায় থাকবেই। 
কিন্তু তা সত্বেও এই লড়াইয়ের উদ্ই‌যাপন যদি প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকে রাস্তায়, তাহলে ‌অনেকের অনেক হিসাব পালটে যেতে পারে। পথেঘাটে, সাধারণ সামাজিক মাধ্যমে মানুষের দাবিদাওয়ার মধ্যে, পাড়ায় পাড়ায়, ঘরোয়া আলোচনায় কিন্তু বিকল্পের কথা থেমে থাকছে না। এটাও কম বড় ভরসার কথা নয়।

তাই প্রচারে নিজস্ব মুনশিয়ানা ঘটাতেই হবে। অভিজ্ঞতাই বলছে বাণিজ্যিক প্রচারমাধ্যম এখন আক্ষরিক অর্থেই ফাঁদ পেতে রেখেছে। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া তো আছেই, তার সঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত সোসাল মিডিয়া। বিশেষত ফেক নিউজ, বিদ্বেষের বিষ ছড়িয়ে দেওয়ায়। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্বেষী প্রচারে ধ্বস্ত হতে আগেও দেখেছে, এখনই রেহাই মিলবে এমনটা ভাবা একটু বড় রকমের আশাবাদ হয়ে যাবে। ‌অতএব সাবধান তো হতেই হবে।
সংবাদমাধ্যমের যে প্রশ্নে অনীহা, মানুষের সে কথা তুলে ধরতেই গণশক্তি বদ্ধপরিকর। দিনভর তাই সংবাদে বিকল্পের অনুশীলন।


এটাই গণশক্তির প্রেক্ষাপট।। ৫৬ বছর আগে ১৯৬৭ সালের ৩ জানুয়ারি সাধারণ মানুষের জীবনযুদ্ধের কথা তুলে ধরার যে লক্ষ্য নিয়ে গণশক্তির পথ চলা শুরু, সে লক্ষ্যে আজও কোনও ছেদ পড়েনি। প্রতিকূলতা আছে, তার বিরুদ্ধে লড়াইও আছে। আমাদের নিজস্ব দুর্বলতা আছে, তার থেকে বেরিয়ে আসার প্রয়াসও আছে। প্রতিদিনের যৌথ উদ্যোগই সকালের গণশক্তি, নেট মাধ্যমে গণশক্তি সারাক্ষণ। পাঠক, শুভানুধ্যায়ী, লড়াইয়ে থাকা মানুষের সমর্থন ও সাহচর্য সাহস জোগাচ্ছে আমাদের।

Comments :0

Login to leave a comment