এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল বিজেপি বিধায়করা বৈঠকে বসে পরিষদীয় নেতা নির্বাচন করতে পারে। তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ৫ ডিসেম্বর শপথ নেবেন। এই দৌড়ে এগিয়ে ফড়নবিশ।
বিধানসভা নির্বাচনে মহাইউতির বিপুল জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী কে হবে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয় ফড়নবিশকে মুখ্যমন্ত্রী করার। পাল্টা বিজেপির ওপর চাপ বাড়াতে থাকে শিবসেনা। তাদের দাবি একনাথ শিন্ডে নেতৃত্বাধীন সরকারের নীতির ফলে মহারাষ্ট্রে বিপুল জয় পেয়েছে এনডিএ তাই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব থাকুক একনাথের হাতেই। এরই মধ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে শিন্ডে জানিয়ে দেন যে মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে বিজেপি যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেবেন তিনি এবং তার দল। তারপর দিল্লিতে অমিত শাহের সাথে তিন নেতার বৈঠকের পর রাজ্যে ফিরে আর কোন বৈঠকে বসেননি শিন্ডে যা নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে মহারাষ্ট্রে।
২০১৯ সালে একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে বিজেপি এবং শিবসেনার মধ্যে দড়ি টানাটানির ফলে ভেঙে যায় এনডিএ। কংগ্রেস, শিবসেনা এনসিপি নিয়ে তৈরি হয় মহা বিকাশ অঘড়ি। দুবছরের মাথায় শিন্ডে সহ কয়েকজন শিবসেনা বিধায়ক বেরিয়ে আসায় সরকার পড়ে যায়। বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেন শিন্ডে। পরবর্তীতে এনসিপি ভেঙে অজিত পাওয়ার বেরিয়ে এসে সেই সরকারে যোগদান করেন।
Comments :0