জানা অজানা
ঘূর্ণিঝড় নানান নাম — নানান দেশের
তপন কুমার বৈরাগ্য
নতুনপাতা
আরবসাগর ও বঙ্গোপসাগর থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়।যেগুলো
গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় নামে পরিচিত।১৬৯টি নামের
তালিকা আন্তর্জাতিক আবহাওয়া দপ্তরকে দেওয়া হয়।
২০১৯ খ্রিস্টাব্দে ১৩ টি দেশ মিলে এক একটি ঘূর্ণি
ঝড়ের নামকরণ করে। এই ১৩টি দেশ হলো ভারত, পাকিস্তান,
মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা,মালদ্বীপ,থাইল্যান্ড,ওমান,ইরান,বাংলাদেশ,
সৌদি আরব,ইয়েমেন,সংযুক্ত আরব আমীরশাহ,কাতার।
দানা নামটা দেওয়া মধ্যপ্রাচ্যর তৈল উৎপাদক দেশ কাতারের।
যদিও দানা শব্দটা বাংলা শব্দের মতন শুনতে লাগছে;তবুও
দানা একটা আরবি শব্দ।যার অর্থ সুন্দর এবং মূল্যবান মুক্তো।
২২শে অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই নিম্নচাপটা ২৩শে
অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়।এই ঝড়ের গতিবেগ ছিলো
১১০থেকে১২০কিমি পর্যন্ত।উড়িষ্যার ধামারে এর ল্যান্ডফল
হয়।এর ফলে উড়িষ্যার উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং পশ্চিমবঙ্গের
পূর্বমেদিনীপুর জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
২০১৯ থেকে যে সব শক্তিশালী এবং দুর্বল ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল
তারা হলো- ফণি, বুলবুল,কিয়ার,হিক্কা,গতি,বায়ু,তেজ,মহা,
আম্ফান,নিভার,বুরেভী,অশনি,নিসর্গ,সিত্রাং,নিভার,টাউকটে,
ইয়াস,জাওয়াদ,রেমাল,বিপর্যয়,আসনা,হামুন,মোচা,মিচিং,
হামুন,মিধিলি।ভারতের নাম দেওয়া যে সব ঘূর্ণিঝড় হয়ে গেছে
সেগুলো হলো-গতি যার অর্থ গতি।বায়ু যার অর্থ বাতাস।তেজ
যার অর্থ শক্তি।বায়ু ২০১৯খ্রিস্টাব্দে হয়।গতি ২০২০খ্রিস্টাব্দে
হয়।তেজ ২০২৩খ্রিস্টাব্দে হয়।ভারতের নাম দেওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলো
ছিলো দুর্বল প্রকৃতির।২০২০খ্রিস্টাব্দে থাইল্যান্ডের দেওয়া
ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ।যার অর্থ থাইল্যান্ডের ভাষায় আকাশ।
আম্ফান ছিলো মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়।যে ঘূর্ণিঝড় ব্যাপক
ক্ষয় ক্ষতি করেছিল।যার স্মৃতি আজো মানুষ বহন করে
চলেছে।যার বিভীষিকাময়ী বিধ্বংসী ছবি আজো বহু জায়গায়
এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এবারে ২০২৪ কাতারের দেওয়া
নাম দানা যার অর্থ মুক্তর মতো সুন্দর এবং দুর্বল একটি ঝড়, যা
কোনরকমে সাইক্লোনের সীমারেখাকে ছুঁয়েছে
এর পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম ফেইনজাল।
এই নামটা দেওয়া মধ্যপ্রাচ্যর প্রধান তৈল উৎপাদক দেশ সৌদি আরবের ।
Comments :0