অরূপ সেন: নয়াদিল্লি
লড়াইয়ের সাথীদের অনেককেই তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। কিন্তু মনোবল ভাঙেনি গ্রেটার নয়ডায় আন্দোলনরত কৃষকদের।
বুধবারও হাজার হাজার কৃষক যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের জিরো পয়েন্টে সমবেত হয়েছেন।
সংযুক্ত কিসান মোর্চার অন্যতম নেতা হান্নান মোল্লা রয়েছেন অবস্থানে। যোগ দিয়েছেন সারা ভারত কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক বিজু কৃষ্ণানও।
বুধবার অবস্থান আসার পথে সংযুক্ত কিসান মোর্চার আরেক নেতা বিকেইউ’র রাকেশ টিকায়েতকে আটকেছে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারের পুলিশ। গ্রেটার নয়ডায় আসার মুখে আলিগড়ে আটকে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
নভেম্বর থেকেই আন্দোলনে গ্রেটার নয়ডা, নয়ডা, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন বিভিন্ন অঞ্চলের গ্রামে থাকা কৃষকরা। কৃষকসভা এবং সংযুক্ত কিসান মোর্চা শামিল আন্দোলনে। এই এলাকায় এখন জমির দাম আকাশছোঁড়া। শিল্প, বাণিজ্য, আবাসনে লেনদেন হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। কিন্তু কৃষকদের এই জমি দিতে হয়েছিল নামমাত্র দামে। শিল্পোন্নয়ন হয়েছে এমন জমির ১০ শতাংশ ফেরত চাইছেন কৃষকরা। ২০১৩-তে পাশ হয়েছে জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ আইন। সেই আইনের বিধি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন।
মঙ্গলবার কৃষকরা ঢুকতে চেয়েছিলেন দিল্লিতে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যসচিব কথা দেন তিনি দেখা করে আলোচনায় বসবেন। তিনি আসেননি। উলটে অবস্থানরত কৃষকদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। কিসান মোর্চা জানিয়েছে, বহু মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের বহু গ্রাম থেকে এসেছেন কৃষকরা।
Comments :0