Parliament

চলতি শীতকালিন অধিবেশনে সব থেকে কম সময় চললো সংসদ

জাতীয়

শুক্রবার শেষ হয়েছে শীতকালিন অধিবেশন। দেশের ৭৫ বছরের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এই প্রথম সব থেকে কম সময় চললো লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন। একাধিক বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে শীতকালিন অধিবেশন। প্রথমে আদানি, তারপর এক দেশে এক ভোট। পরবর্তী সময় সংবিধান নিয়ে আলোচনার সময় আম্বেদকরকে নিয়ে করা অমিত শাহের মন্তব্য। সরকার এবং বিরোধী উভয় শিবিরের হই হট্ট গোলে বার বার মুলতুবি হয়েছে অধিবেশন। 

পরিসংখ্যান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের ৫৭ শতাংশ সময় চলছে লোকসভা, রাজ্যসভা চলেছে ৪৩ শতাংশ। সংসদ চলতে না পারা দায় বিরোধীদের দিকেই ঠেলতে চাইছে বিজেপি। তাদের দাবি সস্তার রাজনীতির জন্য সংসদের কাজে বাধা দিচ্ছে বিরোধীরা। পাল্টা বিরোধীদের কথায় সংসদ যাতে ঠিক ভাবে চলে বিরোধীরা যাতে তাদের কথা বলতে পারে সেই দিকটাও দেখার দায়িত্ব সরকার পক্ষের।

রাজ্যসভায় বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। পক্ষপাত দুষ্ট আচরন করেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। এই দাবি তুলে দনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও এনেছিলেন ইন্ডিয়া সাংসদরা। 

উল্লেখ্য আদানির দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বিরোধীরা যখন আলোচনার দাবি জানিয়েছে তাতে গুরুত্ব দেয়নি সরকার। বাধ্য হয়ে নিজেদের দাবি তুলে ধরতে প্রতিবাদের পথে হাঁটতে হয়েছে বিরোধীদের। 

লোকসভার সচিবালয়ের থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী গত ছয় মাসে মাত্র একটা বিল পাশ হয়েছে সংসদে। চলতি অধিবেশনে ১২৯ তম সংবিধান সংশোধনি অর্থাৎ এক দেশ এক ভোট বিল সরকার আনলেও তা পাশ হয়নি। পাঠানো হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে বিবেচনার জন্য।

এরই মধ্যে অধিবেশনের শেষ দিন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা জানিয়ছেন যে, সংসদে চত্বরের কোন জায়গায় কেন বিক্ষেভ দেখানো যাবে না। বিক্ষোভ দেখালে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

বৃহস্পতিবার বিজেপি এবং কংগ্রেস সাংসদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দুপক্ষের সাংসদই আহত হন। বিজেপির দাবি লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী তাদের সাংসদদের ধাক্কা দিয়েছে। এই নিয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে। 

  

Comments :0

Login to leave a comment