বই
পান নিয়ে বিকল্প গবেষণার ইতিহাস
পার্থ নাগ
মুক্তধারা
পান একটি অর্থকরী ফসল। আচারে অনুষ্ঠানে, নিত্যদিনে ঘরে ঘরে তার প্রভাব। সেই পান নিয়ে ‘পান থেকে পানীয়’ শীর্ষক
একটি বই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয় গত ২৬এপ্রিল কলকাতায় এস এন ব্যানার্জি রোডে প্রাদেশিক কৃষকসভার রাজ্য
দপ্তর কমরেড হরেকৃষ্ণ কোঙার ভবনে। ড. অশোকনাথ বসু বইটি প্রকাশ করেন। বইটির ভূমিকাও তিনি লিখেছেন। বইটির
নাম ‘বিকল্পের সন্ধানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় : পান থেকে পানীয়’।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি গবেষণার অন্যতম একটা মূল লক্ষ্য ছিল গ্রাম বাংলার অর্থকরী ফসল পানচাষের উন্নতি
ঘটিয়ে পানভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা। পানের বহুমুখী ব্যবহার, রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে তার ইতিবাচক প্রভাব,
বাণিজ্যিক সফলতা ইত্যাদি এই বইটির উপজীব্য। জাতীয় আর্থিক ক্ষেত্রে পান রপ্তানি-বাণিজ্য এখন বিশেষ প্রভাব
রাখে।পান থেকে স্বাস্থ্যকর পানীয় ছাড়াও তার ছিবড়া থেকে জৈব সার উৎপাদন করা যে যায় তা গবেষণায় এবং বাস্তবে
প্রমাণিত। বইটির নামকরণ করেছেন রজত বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২৯পাতার বই এটি।
বইটিতে রয়েছে তেরটি অধ্যায়। বিস্তারিত আলোচনা আছে পান চাষের সমস্যা ও তার সমাধানের ব্যাপারে। বিভিন্ন জাতের
পান, তার ভেষজ ও রাসায়ানিক গুণাবলী, পান তেলের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার, পান থেকে বাণিজ্য, পানচাষে বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তির প্রকৌশল, পান থেকে স্বাস্থ্যকর পানীয় উৎপাদন, বর্জ্য থেকে সম্পদ সৃষ্টি, পান থেকে লজেন্স, মুখসুদ্ধি ও জৈবসার
তৈরি নিয়ে নানা প্রসঙ্গ এতে আলোচিত হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণার সুফল যাতে গ্রামের মানুষ পান সেই লক্ষ্যেই
বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার প্রয়াস। কিভাবে সেই গবেষণা চলেছে গবেষণার লক্ষ্যপূরণের পথে বিভিন্ন ঘটনার কথা সহজ
সরলভাবে লেখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার সাফল্যকে গ্রামবাংলায় এবং গ্রামের কৃষিক্ষেত্রে প্রয়োগ করার এক
নিরলস প্রচেষ্টার প্রতিচ্ছবি। পান চাষে সারের প্রয়োগ, বরজ তৈরির প্রসঙ্গ, বিভিন্ন রোগের প্রভাব, পানের শত্রু বিভিন্ন কীট ও
তার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরামর্শগুলিও আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে। এর ফলে পান চাষি থেকে শুরু করে, পান ব্যবহারকারী,
বরজ কর্মী ও পান বিক্রেতারাও উপকৃত হবেন।
বিকল্পের সন্ধানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় : পান থেকে পানীয়।
সিদ্ধার্থ দত্ত। শুভ্রা দত্র। ৮৬/১নিউ টালিগঞ্জ,পূর্ব পুটিয়ারী। কলকাতা ৭০০ ০৯৩। ২০০ টাকা
Comments :0