প্রথম একদিনের ম্যাচ জিতে ইতিমধ্যেই সিরিজে এগিয়ে ভারত। আজ সিরিজের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা। আর এই ম্যাচ নিয়েই আজকের আলোচনা।
এই মাঠে এখনও পর্যন্ত ৩০টি একদিনের ম্যাচে, ১৮টি ম্যাচই জিতেছে আগে ব্যাটিং করা টিম। মাত্র বারোটিতে জয় পেয়েছে পরে ব্যাটিং করা দল। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, ২০১৪ সালে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচেই এখনও পর্যন্ত একদিনের ম্যাচের নিরিখে সর্বাধিক রান উঠেছিল। সেই ৪০৪ রানের রেকর্ড এখনও অক্ষত রয়েছে এই ইডেনে। আবার এই ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচেই, ২০০৯ সালে ৩১৭ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডও রয়েছে।
তবে ইডেন রোহিত শর্মার কাছে বরাবরই পছন্দের তালিকায়। তাঁর বেশকিছু ঝকঝকে ইনিংস রয়েছে এই মাঠেই। ফলে যেকোনো মুহূর্তে জ্বলে উঠতে পারেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক।
এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে ভারতীয় দলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, একটা সেট টিমকে খুব একটা বদল করতে চাইবেননা কোনো অধিনায়কই। গত ম্যাচে শুভমান গিলের অন্তর্ভুক্তি এবং তাঁর ভালো পারফর্মেন্স অধিনায়কের চিন্তা কিছুটা কমিয়েছে। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে পাথুম নিসাঙ্কা এবং ধনঞ্জয় দ্যা সিলভার পারফরম্যান্সও এই ম্যাচে স্বস্তি জোগাবে লঙ্কা বাহিনীকে। এছাড়া দাসুন শানাকা নিজেও ভালো ফর্মে রয়েছেন। তবে ভারতের শেষ ১০ ওভারে বোলিং-এর ধার কমে যাওয়া একটু হলেও চিন্তার কারণ।
অন্যদিকে উমরান মালিকের আগুনে বোলিং অবশ্যই আতঙ্কের শ্রীলঙ্কার কাছে। মাত্র ৫৭ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। তবে শ্রীলঙ্কাও তাদের তুরুপের তাস হিসেবে ওয়াহিণ্ডু হাসারাঙ্গাকে ব্যাবহার করতে পারে। ইতিমধ্যেই ৩৯টি উইকেট পেয়ে গেছেন একদিনের ম্যাচে। ফলে এই ম্যাচ হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে।
ইডেনের পিচের যা চরিত্র তাতে আগে ব্যাটিং করা দল কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাবে সেই কথা বলাই বাহুল্য। এমনিতেই রাত বাড়ার সাথে সাথে শিশির পড়ার সম্ভাবনাও যথেষ্ট বেড়ে যায়। পরিসংখ্যানও সেই কথাই বলছে। আজ এমনিতে কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই তবে তাপমাত্রার তারতম্য হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ম্যাচ যখন শুরু হবে তখন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রীর আশেপাশে থাকলেও, রাতের দিকে তা ১০ ডিগ্রীতে নেমে যেতে পারে। অন্যদিকে, এই কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটই থাকছে এই ম্যাচের জন্য। পেসার, মিডিয়াম ফার্স্ট এবং স্পিনারদেরও সফল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
তবে আসল ম্যাচ হবে সেই ২২ গজেই। পরিসংখ্যান কয়েকটি তথ্য মাত্র। আসল লড়াই হবে ব্যাট এবং বলের। তাই নজর থাকুক ইডেনে।
Comments :0