কবিতা
কৃষ্ণনগর
সৌরভ দত্ত
মুক্তধারা
কোজাগরী রাত্রের খোবলানো মাংস,
যেন ফয়েল পেপার মোড়া রেশমি কাবাব
অতীতের ঘাড় ভেঙে নিয়ে গেছে প্রোমোটার
নারীদেহের দগ্ধ হাওয়া চুরি করছে প্রতিটি নিঃশ্বাস
ধানক্ষেতে হন্যে হয়ে গো-ভাগারা ঘোরে
তারপর ফিরতে ফিরতে বাড়ি
ছাতিম জ্যোৎস্নার গান ছড়িয়ে পড়ে
উন্নাসিক আকাশ থেকে রক্তাভ শিশির কণা ঝরে
রহস্যদীর্ণ আলোক স্তম্ভের উপর কন্ঠি নিমপেঁচা
শেষ শিকারের প্রলুব্ধতায় মগ্ন
চাঁদলোকে জেগে থাকা রাই লক্ষ্মী সাজে
আলতা পরে পায়ে, ঠোঁটে ম্যাট লিপস্টিক লাগায়
বিসর্জনের বাজনা-বাদ্যি, মশাল হয়ে জ্বলছে
ফটোগ্যালারীতে জমেছে অজস্র ডকুমেন্ট
কত কোজাগরী আসে মন খারাপের জানালায়
অনেক গল্প ঘুমিয়ে কাঠের দেরাজে
তবুও নরম পাঁজরের সুর ওঠে এসরাজে
ভেঙে যাওয়া ঘুলঘুলি
কষ্টিপাথরের থালা, জ্যামিতিক ভুল ভুলাইয়া
পটের লক্ষ্মী আঁকতে আঁকতে
চোখের পাতায় খসে পড়া বালি
লোকায়ত জীবনের মহার্ঘ্যটুকু
কেউ নেই চলে গেছে যে যার
নিঃসীম ধূসর দেশে
জন্মভিটে হারিয়ে গেলে অমোঘ নিয়ম ফুটে ওঠে
বক্স বাজে–“প্যারেলাল রে…”
খোঁচা খোঁচা কাশবন
শেষবার ভাসান মঙ্গল
নদীতে প্রলম্বিত ঘূর্ণনে দেবী চলে যান
পাক খায় সিঁদুর কৌটো, শোলার মুকুট
ভেসে থাকে– দ্রোহকাল অথবা, কৃপাণ।
Comments :0